বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি ভোরের সকাল।।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাম হাত বিচ্ছিন্নসহ হত্যাচেষ্টার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষ ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে এক মহিলাসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আতাউর রহমানের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
এ বিষয়ে আতাউর বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান পিকুলের লোকজন কুপিয়ে আমার বাম হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আসামি তহিদ ও লেকবারকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে তথ্য দেওয়ায় গতকাল নুরু মুন্সীর স্ত্রী জাহিদা বেগমকে তার বাড়িতে গিয়ে পিকুলের লোকজন মারধর করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন পিকুলকে মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, আতাউরকে জখমের ঘটনায় থানায় মামলায় মামলা হয়েছে। এ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এলাকার পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।