স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ভিসি হওয়ার তদবির শুরু করেছেন ২০০৪-২০০৫ সালে নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা ড. আলী নুর। কুষ্টিয়ার ইবিতে এ কথা এখন জনে জনে। ইবির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য তৎকালীন সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর ড. আলী নুরের অফিস কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। জানা যায়, আলী নুর এক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসেবে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করেন তখনকার ইবি ছাত্রদলের সভাপতি মমিনুর রহমানকে।
শুধু তাই নয়, সেসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রক্টর আলীনুর ও তার অপকর্মের সহযোগী মমিন কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেও মেলে আলীনুরের নিয়োগ বাণিজ্যের সত্যতা। জানা যায়, আলীনুর ও মমিন চাকরি দেওয়ার নাম করে কীভাবে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পরবর্তীতে চাকরি নামক সোনার হরিণ না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু হয়, এতেও প্রতিকার না হলে আলীনুর ও মমিনকে ইবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
একের পর এক বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ড. আলীনুরের বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ফিরিস্তি। তৎকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, একদিকে প্রক্টর পদ অন্যদিকে সিন্ডিকেট মেম্বার। এই দুই পদ কাজে লাগিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে ”আঙুল ফুলে কলা গাছ” বনে যান ড. আলীনুর। মেতে ওঠেন নিয়োগ বাণিজ্যের রমরমা কর্মকাণ্ডে। ইবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন; বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিটা ইট-পাথরও যেন আজ আলীনুরের অপকর্মের রাজ সাক্ষী।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, স্বৈরাচার সরকারের মসনদ গণঅভ্যুত্থানে ভেঙে তছনছ হওয়ার পরপরই গর্ত থেকে উঠেই ডানা মেলতে শুরু করেন ড. আলীনুর ও তার অপকর্মের বিশ্বস্ত দোসররা। যারা আঁতাত করে পিঠ বাঁচিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আমলে। অবাঞ্ছিত হওয়া নিয়োগ বাণিজ্যের মূল কারিগর আলীনুর এবার ইবির ভিসি হওয়ার জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন বলেও জানায় ইবির ওই সূত্রগুলো। এমনকি যেকোনো শর্তে বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে হলেও ভিসি হওয়ার তদবির করছেন বলেও জানায় সূত্র।
তবে, ইবির একাধিক সূত্র বলছে আলীনুর ভিসি হলে অস্থিতিশীল হতে পারে ক্যাম্পাস। এদিকে, এসব অভিযোগের বিষয়ে ড. আলীনুরের সাথে যোগাযোগ করলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।