সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ।। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করছেন বলে জানা গেছে। শনিবার রাত ৭টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গা গান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে রুনা নামে এক কলেজশিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। রুনার দাবি, শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু সে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনার অনুমতি ছাড়া অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন। অন্যদিকে গত দুই মাস থেকে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি, শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এলাকাবাসী এর একটা সমাধান চায়। শাহীনের এক প্রতিবেশী বলেন, শনিবার বিকেল ৫টায় পাশের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের মো. আবুল কাসেমের মেয়ে রুনা বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে আসেন। এ কথা শুনে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. মিজানুরের মেয়ে সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে তার বাড়ি আসেন। ওই দুই মেয়ে দাবি, শাহিন তাদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম করে আসছেন। এখন দুই মেয়েই শাহীনকে বিয়ে করতে চায়। এ নিয়ে সমাজের সবাই দ্বিধায় পড়েছেন যে কাকে রেখে কার সঙ্গে বিয়ে দেবেন।