নিহত রানা শৈলকুপার কাশিনাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। রানার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন শৈলকুপা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক লিটন হোসেন।
তিনি জানান, ফরিদপুরের মাঝকান্দি মোড়ে পৌছালে রানা মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন। লাশ এখন ফরিদপুর মর্গে আছে বলে তিনি জানান। পুলিশ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, সামাজিক ও দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুস্তাক শিকদারের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার (২২১ জুলাই) মধ্যরাতে শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামে উপজেলা সভাপতি মতিয়ার রহমানকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে চার হাতপা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গল ও বুধবার বন্দেখালী, কুশোবাড়িয়া ও নন্দিরগাতি গ্রামে মতিয়ার সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে ভাংচুর-লুটপাট চালায়। এ সময় কাশিনাথপুর গ্রামের রানা, সাইফুল ইসলাম, আকাই খান, বন্দেখালী গ্রামের গোলাম মোস্তফা, আলমগীর হোসেন ও আতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এরমধ্যে রানা হোসেনের দুই পা বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হলে ফরিদপুর মৃত্যুবরণ করেন। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি জানান, হামলায় একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।