ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর হানাদার মুক্ত দিবস আজ ।

আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর প্রথম
  • আপলোড তারিখঃ 04-12-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 15514 জন
মুক্তিযুদ্ধের  ১১ নং সেক্টর হানাদার মুক্ত দিবস আজ । ছবির ক্যাপশন: মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর হানাদার মুক্ত দিবস আজ ।
ad728

সাখাওয়াত হোসেন (জামালপুর) বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি । আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐতিহাসিক ১১ নং সেক্টরে ধানুয়া কামালপুরে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সম্মূখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রথম হানাদার মুক্ত করে উড়িয়েছিলেন বিজয়ের পতাকা। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১১ নং সেক্টরের ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জামালপুর জনাব হাছিনা বেগম।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১১ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা কালীন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ( বিপিএম), জামালপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুন মুন জাহান লিজা, বকশীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা, বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর, বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক কৃষিবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মুকাদ্দেস রিপন, বিএনপি পৌর শাখার আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আলী, বীর প্রতীক বশির আহমেদ, বীর প্রতীক নুর ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মমতাজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করতে ৮ দফায় পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিন সহ ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন সহ ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এবং ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন।এর মাধ্যমে শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় এই ধানুয়া কামালপুরে। ধানুয়াকামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। প্রতিবছর এই দিনটিকে ১১ নং সেক্টরের ঐতিহাসিক হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করেন স্থানীয় জনগণ ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ডেইলি ভোরের সকাল

কমেন্ট বক্স