লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধ : রামগতিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দোসরদের দিয়ে কলেজের গর্ভনিং বডি গঠনের গোপন বৈঠকের আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহাজান তালাশীর বিরুদ্ধে। রামগতি উপজেলার আহমাদীয়া কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন, ছাত্রছাত্রী ও অভিবাবকদের মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত প্রায় ২০ বছর যাবত কলেজটির গর্ভনিং বডি দখল করে আছে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ ও তার পরিবার। পালাক্রমে তারাই গর্ভনিং বডিতে ছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে তার স্ত্রী জাংসেদা জাং চৌধুরাণী, বড় বোনের জামাই একরামুল হক, ছেলে ফারাবী এবং ওয়াহেদ সাহেবের নিকট আত্মীয় স্বজন। এসময় কলেজের নামে বেনামে সরকারি ও বেসরকারি বরাদ্দের ব্যাপক অনিয়ম হয়। তাদের পরিবারের ইশারায় চলছিল পুরো কলেজ।
স্থানীয় অভিভাবক আবদুল বাতেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি বাতিল করে সরকার। পরে আরেকটি আদেশে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
আবদুল বাতেন বলেন, সে নির্দেশ মেনে কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহজাহান তালাসি আবারো অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদের বোনের স্বামী ও আওয়ামী নেতা একরামুল হককে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে। কমিটি গঠনের গোপন বৈঠক করা হয় অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদের বাসায়। কমিটির অন্যান্য প্রস্তাবিত সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদের বোন রিজিয়া মালেক, ভাগিনা মো: বাপ্পি। বৈঠকের বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়।
মীর আরাফাত ও মোসলেহ উদ্দিন নামের স্থানীয় দুই বাসিন্দা বলেন, আহমাদীয়া কলেজটি গত ২০ বছর যাবত দখল করে আছে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ ও তার পরিবার। এসময় কলেজে প্রচুর দূর্নীতি হয়। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহেদ পরিবারের অন্ধভক্ত। তাই এখনো তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পরিবারকে দিয়ে কমিটি গঠনের গোপন বৈঠক করছেন। এতে স্থানীয় জনতা কমিটির বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করলে বিষয়টি শুনে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্য ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হামিদ মিয়া বলেন, বিগত বহু বছরের নানা রকম সরকারি বরাদ্দ দুর্ণীতি ও লুটপাটের তথ্য গোপন রাখতে ফ্যাসিস্ট আ’লীগের লোকজন দিয়ে আবারো কমিটি গঠন হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহজাহান তালাশির ফোনে বারবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ছৈয়দ আমজাদ হোসাইন বলেন, আহমাদীয়া কলেজ ম্যানেজিং কমিটি গঠনে কিছু বির্তকের কথা শুনেছি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনো কোন তথ্য জানায়নি।