নড়াইল জেলা প্রতিনিধি। নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের বিছালী গ্রামের হাবি শেখ (৪৫) বিরুদ্ধে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে৷ এঘটনায় দু পক্ষের হামলায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত রুবেল শেখ নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলা বিছালী ইউনিয়নের বিছালী গ্রামের হাবি শেখ স্থানীয় মাহফিল থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র মুন্না কাজীকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার পরিবারের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তাকে বাড়িতে নিয়ে রাখে। রাত গভীর হলে তার গোপনঅঙ্গে হাত দেয়। পরবর্তীতে তাকে বলাৎকার করে। তখন সে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে জানান তখন পরিবারের লোক একত্রিত হয়ে বিষয়টি শুনতে আসলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপে মারামারি হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ আসলে দুই পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়। বলাৎকার শিকার মুন্না বলেন, আমার বাড়ি সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের সীমানন্দপুরে এখানে মামা বাড়ি বেড়াতে এসেছি। মামা বাড়ি পাশে মাহফিলে গেলে হাবি শেখ তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমার গোপনঅঙ্গে হাত দেয়। আমি দৌড়ে বাড়ি এসে মামাকে জানাই৷ মামা ও তার পরিবারের লোক বিষয়টি শুনতে গেলে তারা মামার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে মামাকে মারপিট করে। পরবর্তীতে মামার সাথে থাকা লোকগুলো মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে সবাই চলে যায়। এ বিষয়ে রুবেল শেখ বলেন, আমার ভাগ্নেকে বলাৎকার কেন করল জানতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে ওঠে হাবি শেখ সহ সায়েব আলী শেখ, সাইদুল শেখ, সৌহিদুল শেখ জাকারিয়া মোল্যা কামাল শেখ সহ অনেকে। তাদের আঘাতে আমার এক হাত ভেঙ্গে গেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবি শেখ বলেন, আমি তাকে বলাৎকার করি নাই। শুধু তার গোপন অঙ্গে হাত দিয়েছি। তারা শুনতে আসার অযুহাতে আমদের অনেককে মারপিট করেছে। ওরা সব আওয়ামীলীগ। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।