
নড়াইল সদর উপজেলা প্রতিনিধি।
নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্ৰাম ইউনিয়নের দৌলতপুর চর পাড়া গ্রামের ছত্তার শেখের ছেলে নূরনবী শেখ এর সাথে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পাইককান্দী গ্ৰামের নুর আলম মোল্লার মেয়ে ফারজানা খানমের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় পরে বিভিন্ন সময়ে একে অপরের সাথে ফোন আলাপ ও দেখাহয়। শুধু দেখা নয় একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক হয়। নূরনবী বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী। মেয়েটিকে বিয়ে না করায় মেয়েটি সরাসরি নূরনবীর বাড়িতে এসে বিয়ের দবীতে আজ রবিবার অনশন শুরু করেন।
এ বিষয়ে ফারজানা খানম বলেন, নূরন্নবী শেখের সাথে আমার ২ বছর ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার পর দেখা ও সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে একাধিক বার শারীরিক মেলা মেশা হয়। সে কুমিল্লা থেকে খুলনায় বদলীর জন্য আমার থেকে গলার চেইন বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চ্যাটিং ও অন্তরঙ্গ ছবি সহ ভিডিও আলাপ হয়। তার সাথে আমার এ সম্পর্কের প্রমাণ দুজনের মোবাইল ফোনে আছে। এখন আমি নুরনবী শেখের বাড়িতে এসে উঠেছি আমি নুরনবী শেখ কে ই বিবাহ করে সংসার করতে চায়। আর নুরনবী শেখ যদি আমাকে বিবাহ না করে তাহলে আমি এই বাড়িতে থেকেই আত্মহত্যা করবো। এর জন্য সম্পূর্ণ দ্বায়ী থাকবে নূরনবী শেখ ও তার পরিবার। আমি প্রশাসন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।
ফারজানা খানমের অনশনের খবর পেয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও মেম্বার সবুজ বিশ্বাস ছেলের বাড়িতে অনশনরত মেয়ের সাথে কথা বলেন এবং তাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
এবিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়ে অবগত হয়েছি তদন্ত শুরু করছি তদন্ত শেষে সব জানা যাবে।