নড়াইল সুলতান মেলায় খাবার নিয়ে সংশয় থানায় মামলা, মেলা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

নড়াইল সদর উপজেলা প্রতিনিধি।

নড়াইলে সুলতান মেলায় নিন্মমানের খাবার বিক্রয়, সুলতান মেলায় অপ্রীতিকর ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মেলার সঠিক তদারকি না করায় মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারী) নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নড়াইল-যশোর সড়কে সচেতন নাগরিক ও সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল মাহমুমদ তুফান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু সহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, মেলায় খাবার সহ প্রতিটা মূল্যের দাম বেশি নেয়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। খাবার নিয়ে সাধারণ ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করতে গেলে ‘রানা ভাইয়ের ফুচকার দোকানে’র কর্মচারিরা ছাত্রদের মারধর করলেও উল্টো প্রশাসনের চাপে স্থানীয় যুবক ও সাধারণ ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে মামলা প্রতাহারসহ মেলায় সঠিক তদারকি না করায় এ মেলা বন্ধের দাবি জানান।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু বলেন, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের সাধারণ ছাত্ররা নিন্মমানের খাবার বিক্রি বন্ধ এবং বেশী দামে ফুচকা বিক্রির প্রতিবাদ করায় ফুচকা দোকানের কর্মচারিরা চাত্রদের মারপিট করে। এটা চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা নয়। এছাড়া মেলায় নিন্মমানের খাবার দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। আইন শৃংখলা ব্যবস্থা খুবই দূর্বল।

উল্লেখ্য, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “সুলতান মেলায়” বুধবার (১১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় রানা ভাইয়ের ফুচকার স্টলে ৮ থেকে ১০ জন হামলা চালিয়ে মালিকসহ ৮ কর্মচারীকে আহত করে। এ ঘটনায় দোকান মালিক মনসুর রানা বাদী হয়ে সদর থানায় চাঁদা দাবি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ এ ঘটনায় মামলার আসামী শহরের দক্ষিন নড়াইলের বিনতে হাবিব বর্ষণ ও অনিক মোল্যাকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী দোকান মালিক মনসুর রানা জানান, আসামিরা আমার কাছে প্রথমে ১০ হাজার এবং পরে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এ অর্থ দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা আমার দোকানে এসে হামলা, ৮জনকে মারধর ও ভাংচুর করে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, যে দুইজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে মেলায় ডিউটিরত গ্রাম পুলিশ তাদের ফুচকার দোকান থেকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। তবে এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত শেষে সব জানা যাবে। এছাড়া মেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। এখানে কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগে শুনেছি, ষ্টলগুলোতে নিন্মমানের খাবার বিক্রি হচ্ছে। এটা আমাদের বিষয় নয়।

সুলতান ফাউন্ডেশন ও সুলতান মেলার সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু জানান, বিষয়টি তার নলেজে নেই। তিনি নড়াইল জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন এবং সুষ্ঠু সমাধান বের করবেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *