নড়াইলে স্বামীর অমানষিক নির্যাতনের স্বীকার স্ত্রী; ৫ দিন যাবত হাসপাতালে

নড়াইল সদর উপজেলা প্রতিনিধি।নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পইলডাঙ্গা গ্রামে মাদক আসক্ত স্বামীকে মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সুমাইয়াকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৫ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ স্বামীকে মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় কথা কাটাকাটির জের ধরে আশিক তার স্ত্রীকে প্রথমে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে।এঘটনায় নির্যাতিতা স্ত্রী তার স্বামী আশিকসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদের নামে সদর থানায় মামলা করে। সুমাইয়া ইসলাম লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজে পড়ে এবং আশিক নড়াইল নির্মাণাধীন রেলওয়ে প্রকল্পে চীনাদের সঙ্গে দোভাষী হিসাবে কাজ করে। সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ মাস আগে মনসুর খানের ছেলে আশিক খানের সাথে শামুকখোলা গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদশার মেয়ে কাজী সুমাইয়া ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সুমাইয়া জানতে পারে তার স্বামী মাদকাসক্ত। সুমাইয়া সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে স্বামীর মাদকাসক্তের বিষয়টি গোপন রাখে কিন্তু পরে তা জানাজানি হয় যায়। স্বামীকে মাদক থেকে দুরে রাখতে সুমাইয়ার সব চেষ্টা কষ্ট ব্যর্থ হয়।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত আশিক মোটরসাইকেলের জন্য সুমাইয়ার উপর প্রায় নির্যাতন করতেন।সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর সুমাইয়াকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। স্বামীর নির্যাতনে সুমাইয়ার ০৩ টি দাঁত ভেঙ্গে গেছে এবং ঠোটে ১০ টি সেলাই দিতে হয়েছে। মাথা পাসহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।নড়াইল সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যম কে জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদী হয় ০৪ জনের নামে গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

You May Also Like

One thought on “নড়াইলে স্বামীর অমানষিক নির্যাতনের স্বীকার স্ত্রী; ৫ দিন যাবত হাসপাতালে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *