নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বলেছেন, বিগত ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর লগি বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে আমাদের ভাইদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, তার বিচারের জন্য এখনো হৃদয় কাঁদে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা জামায়াত কর্তৃক আয়োজিত রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
এসময় তিনি বলেন, বিগত সময়ের সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দালালদেরকে চিহ্নিত করে অপসারণ এবং অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নেওয়ায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিজয়ের অন্যতম দাবিদার। মহান আল্লাহ আমাদের মুক্ত বাতাসে ১৬ বছর পরে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই।
এসময় বিগত আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছে সেইসব শহিদদের স্বপ্নকে শক্তিতে পরিণত করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেন, ৫ই আগস্টের স্বাধীনতার পর সারা বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীকে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত।
নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডঃ আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগরের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মাগুরা জেলা আমির এম.বি বাকের, সাবেক জেলা আমির মাওলানা র্মিজা আশেকে এলাহি ও মো. নূরুন্নবী জিহাদী, মাগুরা জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাইদ আহম্মেদ বাচ্চু, নড়াইল জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আইয়ুব হোসেন খান, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, আবুল বাশার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মোঃ জাকির হোসেন বিশ্বাস, মুহাম্মদ খিয়াম উদ্দিন, মোঃ আকিদুল ইসলাম, মোঃ হেমায়েতুল হক হিমু, মোঃ মুশফিকুর রহমান, হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাস্টার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা থেকে আগত ১২ শত নারী ও পুরুষ রুকন (সদস্য)। সম্মেলনে নারী রুকনদের জন্য অডিটোরিয়ামের বাইরে আলাদা প্যান্ডেলে বসার ব্যবস্থা করা হয়।