নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। সোমবার বিকেলে নড়াইল শহরের মহিষখোলায় তার নিজ বাড়িতে অগ্নিসংযোগের আগে বিক্ষুদ্ধ লোকজন ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক বিক্ষুদ্ধ জনতা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাশরাফীর বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এরপরই লোকজন মাশরাফীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। লোকজন ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া ঘরে থাকা মাশরাফী ও তার পরিবারের দুর্লভ ছবি, ট্রফিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
এছাড়াও বিক্ষুদ্ধ লোকজন মাশরাফীর বাড়ির দোতলায় উঠে আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা মাশরাফীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুরো ভবনটি পুড়ে গেছে। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে মাশরাফীর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন ও মা বলাকা মোর্ত্তজা ছিলেন না। একটি ছেলের কাছে বাড়ির চাবি দিয়ে তারা বাড়ি থেকে আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যান। বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। এমনকি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও নিরাপত্তার ভয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। এছাড়াও এসময় বিক্ষুদ্ধরা মাশরাফীর প্রতিষ্ঠিত নড়াইল এক্সপ্রেস জিমটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বিক্ষুদ্ধ লোকজন জিমের মূল্যবান জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও পুরাতন বাস টার্মিনালে জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে সড়কে নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। অনেকে পরিবার নিয়ে হাতে পতকা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে মিছিল করেন। এসময় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয় মিছিল করেন। সড়কে সড়কে হাজার হাজার মানুষ পরিবার নিয়ে মিছিলে নামতে দেখা গেছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ছবি, ব্যানার, তোরণ ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।